গল্প: অতৃপ্ত
পর্ব:১
আমার গর্ভে আমাদের বাচ্চা টা আর নেই
- what ! আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা তুমি । এখন বলছো আমাদের বাচ্চা নেই! মানে কি এসবের?
- হ্যা , আজ তুমি অফিস ছিলে তখন আম্মু আমাকে হসপিটাল নিয়ে যায় তারপর জানতে পারি আমাদের সন্তান নেই ।
- নদী তুমি ফাজলামি বাদ দাও , আমাদের একটা বাচ্চার খুব প্রয়োজন তাই তুমি এসব বিষয়ে একদম ইয়ার্কি করো না
- সাগর আমি একটুও ফাজলামি করছি না । একদম সত্যি বলছি আমাদের বেবি নেই । কিভাবে এটা হয়েছে সেটাও জানি না ।
শেষ কথাটা বলেই নদী কান্না শুরু করে দেয় আর এতোক্ষণ যে কথাবার্তা গুলো হচ্ছিল , সে কথা গুলো নদী আর আমার , আমরা দুজনে স্বামী স্ত্রী । দুই বছর প্রেম করে পরিবারের সম্মতি নিয়ে চার বছর হলো বিয়ে করেছি । কিন্তু আমাদের কোনো বাচ্চা কাচচা হয়নি , হওয়ার সম্ভাবনাও কম । অনেক চেষ্টার পর জানতে পারি নদী প্রেগন্যান্ট । যখন জানতে পারি নদী প্রেগন্যান্ট তখন থেকেই ওকে অতিরিক্ত যত্ন নিতে শুরু করি । কিন্তু আজ অফিস শেষে রুমে আসলে নদী শুনালো নদীর গর্ভে বাচ্চা নেই অথচ ঠিক একমাস আগে ওর প্রেগন্যান্সি টেষ্ট করে । ডক্টর বলেছেন বাচ্চার বয়স সাত মাস তিন দিন এবং বাচ্চা সুস্থ আছে । সাগর নদীর থেকে মেডিকেল রিপোর্ট টা নিয়ে বিছানায় বসে দেখতে লাগলো । রিপোর্টে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে
Result: patient pregnancy wasn't positive due to infertility
সাগর রিপোর্ট টা পাশে রেখে বিছানায় মাথায় হাত দিয়ে বসে রইলো , তার কি করা উচিত সেটা এখন জানা নেই।
- কিন্তু আমার পেটে কিছু একটা আছে , নাড়াচাড়া করে , লাথি দেয় , আমি বুঝতে পারি আমার পেটে সন্তান আছে ।
নদীর কথা শুনে সাগর চমকে উঠে বিছানা থেকে নদীর কাছে যায় । নদী সাগরের একটা হাত নদীর পেটের ওপর রাখে । পেটে হাত বুলিয়ে সাগর মোটামুটি ভাবে বুঝতে পারে নদীর গর্ভে তাদের সন্তান আছে , তাহলে রিপোর্ট ভুল কেন আসলো ? সাগর নদীর পেট থেকে হাত সরিয়ে পেটে একটা চুমু দেয় । তখনই আম্মু ডাক দেয় ডিনার করার জন্য । ডিনার শেষ করে আম্মু আমাকে তার রুমে ডাকে । নদী আমাদের ঘরে চলে যায় আর আমি যাই মায়ের কাছে ,মা আমাকে বসতে বললে আমি তার পাশে বসলাম । মা আমার হাত দুটো ধরে বললো :
((পরের পর্ব সবার আগে পরতে চাইলে রিকোয়েস্ট দিয়ে ছোট্ট একটা মেসেজ দিবেন)))
মা- বাবা আমি কি কোনোদিন নাতি নাতনির মুখ দেখতে পারবো না?
সাগর তার মায়ের প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি । আস্তে করে হাতটা ছাড়িয়ে মায়ের রুম থেকে বেরিয়ে আসে । সাগর বুঝতে পারে বুড়ো বয়সে সবারই মন চায় একটা খেলার সাথী হোক । বুড়ো বয়সে একটু না একটু বাচ্চা ভাব চলে আসে তাইতো গ্রামগজ্ঞে মুরুব্বিরা বলে বুড়া আর গুড়া এক । আমি আমাদের রুমে চলে এলাম , এসে দেখি নদী বিছানায় উবু হয়ে শুয়ে আছে । আমিও আর কিছু বললাম না বাতি নিভিয়ে ওর পাশে শুয়ে পড়লাম । নদী একটু আমার দিকে ফিরে আমাকে জড়িয়ে ধরলো আর তখনই একটা ঠান্ডা বাতাস বয়ে গেলো রুমে । নদী আমাকে জড়িয়ে ধরাতে বুঝলাম নদী কান্না করছে , তাই ওকে শান্ত করতে পেটে হাত দিয়ে বললাম - তুমি কান্না করোনা ,, তাহলে বাবু কষ্ট পাবে । রিপোর্ট টা হয়তো ভুল ছিলো , আমরা কাল আবার যাবো হসপিটালে । এই দেখো আমাদের বেবি হাত পা নাড়ছে ,( সত্যিই ওর পেটে কিছু নাড়াচাড়া করছিলো )। নদী আমাকে আরো শক্ত করে ধরে কান্না থামাতে চেষ্টা করলো । একসময় আমি ও নদী দুজনে ঘুমিয়ে পড়লাম ।
মাঝরাতে নদী খেয়াল করে একটা ছোট্ট বাচ্চা নদীর বুকের ওপর শুয়ে আছে । শুধু শুয়েই নেই , বাচ্চা টা নদীর স্তন থেকে দুগ্ধ পান করছে । নদী চোখ খুলে দেখে সাগর বিছানার একদিকে ফিরে শুয়ে আছে আর দুজনের মাঝখানে একটা বাচ্চা শুয়ে নদীর স্তন খাচ্ছে । নদী ভয় পেয়ে সড়ে গেলেই বাচ্চাটাও গলা ধরে ঝুলে থাকে কিন্তু নদীকে ছাড়ে না । নদী বাচ্চা টাকে যত ছাড়াতে চাচ্ছে বাচ্চা টা ততই নদীকে জড়িয়ে ধরে।
👇👇👇👇
((((গল্পটি ভালো লাগলে Comments Plz))
চলবে....
((সংগৃহীত)))
0 Comments